Ticker

6/recent/ticker-posts

ধোঁকা বাহিরে কেউ নয়

 ধোঁকা

রাকিবুল হাসান


এক গ্রামে সুইট নামে এক ছেলে বাস করিত।সে পড়াশোনা করতে অনেক ভালোবাসতো ।পড়াশোনা যেন ছিল তার জীবনে সবকিছু।

কিন্তু,



হঠাৎ করে তার জীবনে একটি মেয়ে চলে আসে।তাকে সে প্রথম দেখে নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলে।

পরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের এর মাধ্যমে অনেক কথাবার্তা হয়।ঐ মেয়েটিও তাকে অনেক পাগলের মতো ভালোবাসতো।একদিন সুইট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখন সে দেখতে পায়  তার প্রিয় মানুষ টি অন্য একটি ছেলের সাথে কথা বলছিল ।

এটা দেখে যেন তার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দ্যায়। চারপাশ কেমন অন্ধকার নেমে আসে।না চাইতে যেন তার চোখে জল চলে আসে।সে প্রচণ্ড কান্না করতে থাকে।না চাইতেই যেন তার প্রিয় মানুষটির প্রতি অভিমান তৈরি হয়।রাগ করে সে তাকে আর ফোন দেয় না। একেই কি বলে ভালোবাসা নাকি পাগলামি?

পরে সে জানতে পারে ওটা তার শালা ছিল।সে তার ভূলটি  বুঝতে পেরে তার কাছে ক্ষমা চায়।মেয়েটি ছিল অবুঝ তাকে এতোই ভালোবাসে যে তার ভুলগুলো তার কোনোসময় চোখে পড়ে না।এইরকম সন্দেহ যদি আপনাদের প্রিয় মানুষের উপর তৈরি হয় তাহলে আপনি তাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে  ফেলেছেন। যাইহোক তাদের এভাবে অনেক ভালোই দিন কাটছিলো কিন্তু হঠাৎ করে তাদের পরিবার সবকিছু জেনে যায়। মেয়েটির পরিবার তাদের  সম্পর্ক জানা মাএ মেয়েকে অনেক বোকা দিতে থাকে । মেয়েটি থাকে এতোই ভালোবেসে ছিল যে সে তার এক কান দিয়ে সব গালি গুলো শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়ে শুধু তার কথাই ভাবতে থাকে।অন্যদিকে সুইট  ঠিক এই একই কাজ করতেছিল।কিন্তু এতোকিছু দেখার পর  তার পরিবার মেয়েটিকে হঠাৎ করে   বিয়ে ঠিক করে ফেলে!

এটা শুনে যে তাড়াতাড়ি  ছুটে ঐ মেয়েটির বাড়ি চলে যায়।মেয়েটির পরিবারের কাছে হাত জোর করে ,পা ধরে তাদের মেয়েকে ভিক্ষা চাই।তখন ঐ মেয়েটি পরিবার তাকে বলে তোমার নাই কোনো চাকরি ,নাই কোনো টাকা পয়সা তোমার কাছে আমাদের মেয়ে কেন দিবো? তখন সুইট বলে আমাকে তো সময় দিতে পারবেন।আমাকে আপনারা কিছুদিন সময় দেন।তখন তারা বলে ঠিক আছে কিছুদিন তোমাকে সময় দিলাম।এভাবে কিছুদিন কেটে যায়।তারপর সে রাস্তা দিয়ে হাটঁছিল একদিন হঠাৎ করে  সে দেখতে পাই তার প্রিয় মানুষটির হাত ধরে অন্য একজন মানুষ রাস্তা দিয়ে হাটঁছে । তারপর সে ঐ ছেলেকে অনেক মারতে থাকে।কিন্তু তার প্রিয় মানুষটি তাকে মারতে বারন করে ।কিন্তু সে মার থামায় না তাকে মারতেই থাকে।এইসব দেখে ঐ মেয়েটি চিৎকার করে বলে ও আমার সম্পর্কে স্বামী হয়। এটা শোনা মাএই তার ভেতরের প্রাণ পাখিটি যেন  উড়ে চলে যায়। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকে।তার মুখে কোনো শব্দ নেই যেন সে বোবা হয়ে গেছে।শুধু একটা কথা তুমি এটা কেমনে পারলা এই বলে সে কাদঁতে থাকে।

নোটঃ  যদি গল্প টি আপনাদের ভালো লাগে কি কারনে ঐ মেয়েটি বিয়ে হয়েছিল আরো সবকিছু বিস্তারিত জানতে চাইলে তাহলে  বেশী বেশী কমেন্ট ও লাইক করবেন তাহলে পাট  ২ আসবে....................................................

Post a Comment

0 Comments