বারবার বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী?
নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটিতে থাকা সব আরোহী। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি। কিন্তু অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে সেটি বিধ্বস্ত হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ছোট-বড় অনেক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নেপাল। কিন্তু দেশটিতে বারবার কেন এমন মর্মান্তিকসব বিমান দুর্ঘটনা ঘটছে কিংবা এর কারণ কী; সে প্রশ্নও এখন প্রাসঙ্গিক।
‘মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ঘাটতি পাকিস্তানকে মানবিক সংকটের দিকে নিচ্ছে’
মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি, বাজে বিতরণ ব্যবস্থা ও গণছাঁটাই দেশকে ক্রমাগত ‘মানবিক সংকটের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। দেশটিতে চলমান আটার সংকটের মধ্যেই এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করল পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন।
এর আগে দেশটির মিরপুরখাস অঞ্চলে সিন্ধু সরকারের ভর্তুকি মূল্যের আটা কিনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে হারসিং কোহলি নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার কমিশন বিশ্বাস করে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ঘাটতি, বাজে বিতরণ ব্যবস্থা এবং গণছাঁটাই দেশকে মানবিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক হারসিংয়ের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ছলচাতুরি ছাড়া আর কিছু ন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছয় সন্তানের জনক হারসিংই খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের প্রথম বা শেষ দুর্ঘটনা হবে না, যদি না সরকার সারা দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য বিতরণকে
জানা যায়, দুটি ছোট ট্রাকে সিন্ধু প্রদেশ সরকারের ভর্তুকি মূল্যের ৪০০ ব্যাগ আটা বিক্রি করা হচ্ছিল স্থানীয় গুলিস্তান-ই-বালদিয়া পার্কের বাইরে। লোকজন ১০ কেজি করে আটা কিনতে গাড়ি দুটির পাশে জড়ো হয়ে একে অন্যকে ঠেলতে থাকে সামনে যেতে। এতে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক সময় ৪০ বছর বয়সী শ্রমিক হারসিং রাস্তায় পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারসিংয়ের পরিবার এই ঘটনায় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া সিন্ধু প্রদেশের অন্যান্য স্থানেও ছোট ট্রাক বা ভ্যানে করে ভর্তুকি মূল্যের আটা বিক্রির সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যেমন সাকরান্দ শহরের শহীদ বেনজিরাবাদের এক আটা মিলের বাইরে সরকারি মূল্যে আটা কিনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে দুই নারী এবং এক সংখ্যালঘু মেয়ে আহত হয়েছে
নেপালে বারবার বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী?
নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটিতে থাকা সব আরোহী। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি। কিন্তু অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে সেটি বিধ্বস্ত হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ছোট-বড় অনেক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নেপাল। কিন্তু দেশটিতে বারবার কেন এমন মর্মান্তিকসব বিমান দুর্ঘটনা ঘটছে কিংবা এর কারণ কী; সে প্রশ্নও এখন প্রাসঙ্গিক।
২০১৮ সালে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: এনপিআর
২০১৮ সালে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার রেকর্ড রয়েছে। কারণ হিসেবে আংশিকভাবে যার পেছনে রয়েছে দেশটির আকস্মিক আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলঘেরা আকাশপথ।
নেপালে সবশেষ বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ২৯ মে। সেদিন নেপালের পার্বত্য মুস্তাং জেলায় তারা এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২ আরোহীর সবাই নিহত হনন এত বিমান
সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালে বিমান দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটে দেশটির রুক্ষ পাহাড়ি ভূখণ্ড, নতুন বিমান এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের অভাব এবং শিথিল নিয়মের কারণে।
ছাড়াও নেপালের আকাশপথগুলো পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত, যেখানে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় অনেকটা আকস্মিক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০১৩ সালে নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে নেপালভিত্তিক সব বিমান সংস্থাকে তাদের আকাশসীমায় চলাচল নিষেধ করেছিল। সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, সরকারের ব্যর্থতার কারণে এখনও নেপালের অনেক বিমান সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেই নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে।
এভিয়েশন সেফটি ডেটাবেসের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে নেপালে ২৭টি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০টিরও বেশি ঘটেছে গত দশকে।
0 Comments
Thanks for read content