Ticker

6/recent/ticker-posts

আমলকির কি কি গুনাগুণ আছে

 আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা আমাদের শরীরকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডিটক্স দিতে সহায়তা করে। এটি কমলার চেয়ে আটগুণ বেশি ভিটামিন সি এবং ডালিমের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তিযুক্ত। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কেন আমলকি রাখা উচিত




স্বাস্থ্যের উন্নতি থেকে শুরু করে মুখের ব্রণের মতো সমস্যা দূর করে তাই একে উপকারিতার স্টোরহাউজ বলা হয়। বলছি আমলকির কথা। আমলকি বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে।

আমলকীতে যে সকল উপকার পাওয়া যায়:


বমি ভাবে


বমি ভাবের সমস্যা থাকে। এমন ক্ষেত্রে ও আমলকী উপকারী।

মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতায়

মাথা ও  হৃদয়ের বেশ কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে আমলকী উপকার  মাথায় রক্ত চলাচল  বৃদ্ধি করতে  পারে। মস্তিষ্কের  কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


হৃদয় ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।


আমলকী কোলেস্টেরল লেভেল ও কম রাখাতে  সাহায্য করে।


ভিটামিনের ঘাটতি


শরীরে ভিটামিন সি, ঘাটতি পূরণ করে  

ত্বকের লাবণ্যে


আমলকী ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো ছাপ দূর করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায়

রক্ত পরিশ্রুত করতে:রক্ত পরিষ্কার করতে আমলকী খুবই ভালো কাজ দেয়।

সর্দি-কাশিতে

সর্দি-কাশির সমস্যায় ভালো কাজ দেয় আমলকী।

হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিs

হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিস থাকলে নিয়মিত আমলকী খাওয়া উচিত। এই সমস্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

অরুচিতে:

অনেক সময় মুখের রুচি স্বাদ কোরক নষ্ট হয়ে যায়। আমলকীর টক মিষ্টি স্বাদ সেই স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

খিদে বাড়াতে

পেটের সমস্যায়


পেটের পীড়ায় উপকারী এই ফলটি

পাইলস


পাইলসের সমস্যা দূর হয় এই ফল খেলে।

রক্তশূন্যতায়


রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে আমলকী। রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ে।

যৌন সমস্যায়

যৌনতা সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন। সেই সমস্যা দূর করতে পারে  আমলকী যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।

চুলের সমস্যায়

আজকাল চুলের সমস্যায় সকলেই ভোগেন। আমলকী চুলের সমস্যায় খুবই ভালো।

চুল ঝরার সমস্যা বন্ধ করতে আমলকী ভালো। চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধি  করে।

অকালপক্কতা

অকালপক্কতা আমলকী খুবই ভালো। চুল কালো করতে পারে আমলকী।

খুসকি 


আমলকী খুসকি খুবই ভালো। চুলের গোড়া শক্ত করে আমলকী

অনিদ্রায়


 অনিদ্রা থাকলেও আমলকী তার প্রতিকার করতে পারে।

আমলকির আচার:

আপনি যদি প্রতি বেলার খাবারের সাথে আচার খেতে পছন্দ করেন তবে আমলকির আচার আপনার জন্যই। মিষ্টি এবং মশলাদার দুইভাবেই খাওয়া যায়, আমলকির আচার দিনে একবার খাওয়া যেতে পারে।


ক্যান্ডি: যেসব শিশু ক্যান্ডি খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য আমলকির ক্যান্ডি হলো আমলকি খাওয়ার সেরা উপায়। ইচ্ছে করলে আপনিও এই স্বাস্থ্যকর ক্যান্ডিগুলো খেতে পারেন। পানীয় হিসেবে আমলকির রস খেতে পারেন।সকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করেন  ওজন কমাতেই সাহায্য করবে  এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলবে।

শুকনো আমলকি- কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসে এই ভিন্ন রকম রেসিপি নিজেই তৈরি করতে পারেন। আমলকি কেটে টুকরো টুকরো করে এর উপরে কিছুটা লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে দিন। চাইলে নিজের পছন্দমতো আরও মশলা যুক্ত করতে পারেন। এবার এটি কয়েক দিনের জন্য সূর্যের আলোতে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এগুলো এয়ারটাইট জারে সংরক্ষণ করতে পারেন।


মব্রণ দূর করে ব্রণের  ত্বকের লাবণ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে ব্রণ কমাতে এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করার জন্য প্রতিদিন আমলকির রস পান করুন। এই ফলে অ্যান্টি-এজিং প্রোপার্টিও রয়েছে যা ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেবর্তমান মহামারীর সময়ে, যেখানে আমরা সবাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চাইছি, সেক্ষেত্রে আমলকি একটি যাদুকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যাসিরিঞ্জ্যান্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।


দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেআমলকিতে ক্যারোটিনের উপস্থিতি চোখের স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারে। এটি ঘন ঘন চোখের লালচে ভাব, জ্বালা এবং চোখ দিয়ে পানি পরা কমাতে সহায়তা করে।

হজম শক্তি বাড়াতে আমলকীর তুলনা হয় না। অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও আমলকী দারুণ কাজ দেয়।

Post a Comment

0 Comments